বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথ আজ

আত্মবিশ্বাসী তানজিমরা

ক্রীড়া প্রতি‌বেদক

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছে লিটনের দল। শেষ তিন সিরিজেও রয়েছে জয়ের স্মৃতি। এর মধ্যে আছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সিরিজ জয়ও। আর এটা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে টাইগারদের। গতকাল আবুধাবিতে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ দলের পেস তারকা তানজিম হাসান সাকিব-

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাপ্রোচ
আমাদের অ্যাপ্রোচ একবারে সোজাসাপ্টা, আমরা জেতার জন্যই মাঠে যাবো। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি, এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে।

দুই দেশের সমর্থক
তানজিম বলেন, আপনি যেখানেই যাবেন বাংলাদেশের সমর্থকদের পাবেন। সবসময় তারা আমাদের সাপোর্ট করার জন্য মাঠে আসে। মাঠে এটা আমাদের বুস্ট করে। আপনি জানেন আমাদের সমর্থকরা খুবই ইমোশনাল। আমরা যেখানেই খেলি তারা আসে এবং তারা আমাদের সমর্থন দেয়। এটাই আমাদের বড় শক্তি।

সুযোগ আর হুমকি
এশিয়া কাপের আগে আমরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। আমরা তো পূর্ণাঙ্গ একটা সিরিজ খেলেছি- টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ছিল। আমরা তাদের সব খেলোয়াড়কেই ভালো জানি। আমরা ঠিকঠাক পরিকল্পনা করব। অবশ্যই, তাদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় আছে এবং আমরা তাদের আটকানোর চেষ্টা করব।

উইকেট ও নিজের বোলিং
উইকেট বেশ ভালো। এখানে বোলিং করে বেশ উপভোগ করেছি। দেখে মনে হয়েছে এটা স্পোর্টিং উইকেট। আপনি যদি উইকেটে হিট করতে পারেন, বল সুইং করবে। আবার ব্যাটারদের ক্ষেত্রে তারা যদি বলের মেরিট অনুযায়ী খেলতে পারে তাহলে সুবিধা পাবে।

অ্যাগ্রেসন, ডেল স্টেইন
ডেল স্টেইনের খেলা দেখে বড় হয়েছি, একেবারে প্রাইমারি স্কুল থেকে। হয়তো ওইখান থেকেই এটা এসেছে। অ্যাগ্রেসনের বিষয়টা তো ন্যাচারাল। আপনাআপনি চলে আসে। আপনি চাইলেও অনেক সময় যেমন ফিজ (মোস্তাফিজ) ভাই বলেন উনি অ্যাগ্রেসিভ হতে পারে না। উনি ওরকম না।

ষষ্ঠ বোলার
আমাাদের তিনজন পেসার ও দুইজন স্পিনার। অধিনায়ক হয়তো মনে করে নাই শামীম পাটোয়ারিকে দরকার আছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা মোতাবেক এগোচ্ছি। যখন ষষ্ঠ বোলার লাগবে যেটা পাকিস্তানে ব্যবহার করেছে। সুতরাং যখন যে ম্যাচে লাগবে অধিনায়ক সেটাই ব্যবহার করবে।

একদিন আগেই প্রি-ম্যাচ প্রেস
আসলে এই সিদ্ধান্তটা নেয়া হয়েছে যাতে আগামীকাল আমরা পুরোদিন বিশ্রাম পাই। সুতরাং এটা অবশ্যই প্রশংসা করার মতো কারণ এখানে অনেক বেশি গরম। সুতরাং পুরো দিন বিশ্রাম পাওয়া যাবে, অন্য কোনো কাজ নেই। রিকোভারি কিংবা জিম সেশন থাকতে পারে। সুতরাং আমি মনে করি এটা ভালো একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অনুপ্রেরণা
আবুধাবিতে এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি যখন প্রথম বলটা করলাম দেখলাম উইকেটে সিম অ্যান্ড বাউন্স আছে। এরপর থেকে চিন্তা করেছি শুধু উইকেটে হিট করে যাব। নতুন বলে স্কিড হচ্ছিল, সঙ্গে মুভমেন্টও ছিল। প্রথম স্পেলটা আমি খুব উপভোগ করেছি। দ্বিতীয় স্পেলে সিমে বল করলে খুব একটা ইফেক্টিভ হচ্ছিল না। একটু স্ক্র্যাম্বল সিমে করলে ওইটা স্কিড করে চলে যাচ্ছিল, ওইটা ইফেক্টিভ হচ্ছিল। সুতরাং ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে এখানে। আমি মনে করি পরের ম্যাচে আমাকে হেল্প করবে আরও।

অশ্বিনের মন্তব্য প্রসঙ্গে
ভারতীয় ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলেন, বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বলার মতো কিছু পাচ্ছেন না তিনি। এ নিয়ে তানজিম বলেন, আপনি কারও মুখ আটকে রাখতে পারবেন না। আমার মুখ আছে আমি যা ইচ্ছা সেটাই বলতে পারব। বিশেষ করে যারা চুক্তির মধ্যে নেই। সুতরাং কে কী বলল এটা ম্যাটার করে না। আমরা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। এখানে আমরা একটা লক্ষ্য নিয়ে আসছি। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব। এখন আমাদেরকে বড় দল বলুক, ছোট দল বলুক ওইটা দেখার সময় নেই। আমি মনে করি এটা দেখার বিষয়ই না।

আফগানিস্তান এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা
তারা (আফগানিস্তান) দাবি করতেই পারে। তবে এটা সহজ হবে না। আমাদের বিপক্ষে তাদের খেলাটা সহজ হবে না। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য শ্রীলঙ্কার সাথে ম্যাচ জেতা, পরে ইনশাআল্লাহ দেখা যাবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামব। ওয়ানডে বিশ্বকাপে জিতেছি, এমনকি গত সিরিজেও তাদের সাথে আমরা জিতেছি। সুতরাং একটা বাড়তি বুস্ট আপ দেবে। যেহেতু অনেক অনেক ম্যাচ খেলছি তাদের সাথে, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে চিনি, জানি, তাদের দুর্বলতাও জানি। সুতরাং আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামব।

অ্যাগ্রেসিভনেসটা মোটিভেট করে কিনা
দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি যখন মাঠে নামি তখন আমার প্রক্রিয়াটা মেনে চলার চেষ্টা করি। যেকোনো দিন, যেকোনো দলের সঙ্গে। সুতরাং পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে প্রক্রিয়াটা আসল বিষয়। সমর্থকদের ক্রেজ থাকবে, তারা ইমোশনাল। আমাকে আমার প্রক্রিয়াটা মেইনটেইন করতে হবে, বোলিং লেংথ মেইনটেইন করতে হবে। অবশ্যই, একটা টুর্নামেন্ট খেলতে আসছি, পুরো ফোকাস এখানে থাকবে। আমি এতটুকু বলতে পারি প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবে।

ফর্ম
যেকোনো খেলোয়াড়ের ফর্মই দলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বোলাররা, যার দিনে ভালো বোলিং করবে দল ওইটা থেকে লাভবান হবে। সুতরাং আমি মনে করি শুধু আমার ক্ষেত্রে না- আমাদের দলের প্রতিটা বোলারের ফর্ম খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা একটা টুর্নামেন্ট খেলতে আসছি এবং আমাদের লক্ষ্য অনেক উপরে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন